প্রসঙ্গ : ইয়াবা কারবারীদের আত্মসমর্পণ !!

নির্বাচনের আগে মহেশখালী থেকে বেশকিছু সংখ্যক জলদস্যুর আত্মসমর্পণের যে প্রক্রিয়া প্রশাসন করেছিলো তা সত্যিই প্রশংসনীয় ছিল।

কিন্তু এখন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের যে প্রক্রিয়া করা হয়েছে তা নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্দিহান। এ ব্যাপারে হতাশ হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

প্রথমত,
ইয়াবা গত দুই দশক ধরে যে সর্বনাশ এই
রাষ্ট্রের করেছে সেই সর্বনাশের পৃষ্ঠপোষকদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রক্রিয়াটা আমার দৃষ্টিতে অস্বাভাবিক রকমের বিশ্রী লাগছে।

দ্বিতীয়ত,
ইয়াবা ব্যবসা করে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করার পর আত্মসমর্পণ করার মাধ্যমে কি ইয়াবা ব্যবসায়ীরা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না?

তৃতীয়ত,
কোন ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করার মানে কিন্তু এই না যে তার নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যাওয়া। বিকল্প বা পার্শ্ব প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে ব্যবসায়ীরা বিশেষ উদ্দেশ্যে আত্মসমর্পণ করছে।এ ব্যাপারে পদক্ষেপ কি?

চতুর্থত,
ক্রসফায়ার থেকে বাঁচতে বা নিশ্চিত শাস্তির থেকে মুক্তি পাওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া কি কোন ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করছে?

যারা আত্মসমর্পণ করছে তারা প্রত্যেকেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারিতে ছিলো,
আত্মসমর্পণ ছাড়াও তাদের শাস্তি নিশ্চিত খুব ভাল ভাবেই করা যায়।আর যারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারিতে নাই তারা তো আত্মসমর্পণ করছে না।!!

আরও কয়েকটা বিষয় আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যা এই মুহুর্তে নাম বলতে চাচ্ছি না,হয়তো পরে বলবো। তবে একটা কথা বলবো,প্লিজ ভেবে দেখুন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আত্মসমর্পণ এর এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নিরাপদে সুরক্ষার ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে কিনা!

সব ব্যাপারে আপোষ করা উচিৎ না,কিছু কিছু ব্যাপার শক্তভাবে মোকাবেলা করা উচিৎ।যেমন এই ইয়াবার ব্যাপার…

ইসতিয়াক আহমদ জয়

সভাপতি- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (কক্সবাজার জেলা)